টনসিল ফোলা কমানোর ১৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
টনসিল ফোলা কমানোর ১৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
আপনি কি টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ।তাহলে আজকের পোষ্টটি ঠিক আপনার জন্য ।এ পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন টনসিল ফোলা কমানোর পনের টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে এবং টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিই নিম্নের আলোচনার মাধ্যমে ।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলটি মূলত টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে এবং টন সিলের ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে । টনসিল হলে কতদিন থাকে টন সিল ফেটে গেলে কি হয় টনসিল পেকে গেলে কি হয় টনসিল হলে কি লেবু খাওয়া যাবে টনসিল হলে কি কলা খাওয়া যাবে । টনসিল হলে কি দুধ খাওয়া যাবে ।টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না ।
টনসিল ফোলা কমানোর ১৫ পনের টি কার্যকরী উপায় ঃ
টনসিল ফোলা কমাতে আপনি নিম্নের উপায় গুলো ব্যবহার করে খুবই ভালো ফলাফল পেতে পারেন । এ জন্য উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন ।
২। লবন মিশ্রিত কুসুম গরম পানি ঃ টনসিল ফোলা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে লবণ মিশ্রিত কুসুম গরম পানি একটি চমৎকার কার্যকরী উপায় । আপনার টনসিল ফুলে গেলে কিংবা পরিবারের কারো টনসিল ফুলে গেলে আপনি লবণ মিশ্রিত কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন ইহাতে আপনি খুবই উপকার পাবেন । এটাকে আপনি মেডিসিন হিসাবে ধরে নিতে পারেন । সেই সাথে দিনে তিন থেকে চার বার লবন মিশ্রিত পানি গড় গড়া করতে পারেন ।
৩। আদা মিশ্রিত চা পান ঃ প্রতিদিন আদা মিশ্রিত চা পান করলে করতে পারেন । আদা মিশ্রিত চা পান করলে টন সিল ফোলা অনেক খানি কমে যেতে পারে । প্রতিদিন দিনে ২ থেকে ৪ বার আদা মিশ্রিত চা পান টন সিল ফোলা কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী ।
৪। মধু পান করা ঃ টনসিল ফোলা কমানোর জন্য নিয়মিত মধু পান করলে টনসিল ফোলা কমে যেতে পারে । তাই আপনি টনসিল ফোলা কমাতে নিয়মিত ভাবে মধু পান করতে পারেন ।
৫। আদা ও মধু পান করা ঃ টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে আদা ও মধু পান করা একটি কার্যকরী উপায় ।আপনার টনসিল ফুলে গেলে বা টনসিলে ব্যথা হলে আদা ও মধু একসাখে পান করতে পারেন । এতে করে টনসিল ফোলা অনেক কমে যেতে পারে ।
৬। কালো জিরা ও মধু খাওয়া ঃ টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে কালোজিরা ও মধু একসাথে খেলে টনসিল ফোলা কমে যেতে পারে ।তাই আমি বলব টনসিল ফুলে গেলে মেডিসিন এর বিকল্প হিসেবে কালো জিরা ও মধু খাওয়া যেতে পারে ।
৭। পযাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া ঃ পযাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া টনসিল ফোলা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া একটি মানুষের যেকোনো শারীরিক সমস্যার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুবই জরুরী প্রয়োজন ।
৮। লেবুর রস এবং মধু ঃ এক গ্লাস পানির সাথে একটি দেশী লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে টনসিল হলে খেতে পারেন এতে আপনি ভালো উপকার পাবেন টনসিলের কারনে গলাই প্রচন্ড ব্যথা হলে এভাবে দিনে কয়েকবার পান করতে থাকুন । এ উপায় টি ও টনসিল ফোলা কমানোর উপায় ।
৯। মধু ও গ্রিন টি ঃ টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে এক চামচ মধু ও এক চামচ গ্রিন টি এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে দশ থেকে পনের মিনিট ফুটিয়ে নিন । দিনে চার থেকে পাঁচ বার চা পান করুন । গ্রিন টি হচ্ছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এটি জীবাণুর সঙ্গে লড়ে জীবাণুকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে মধু একটি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল শক্তি যা টনসিলের সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে ।
১০। দুধ এবং হলুদ ঃ এক কাপ গরম দুধে সামান্য পরিমান হলুদ মিশিয়ে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে খেতে পারেন । হলুদ হচ্ছে আন্টি ইনফ্লেমটরি এবং আন্টি অক্সিডেন্ট যেটি গলা ব্যথা দুর করতে সাহায্য করে ।
১১। পুদিনা পাতার জুস ঃটনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে পুদিনা পাতা জুস বানিয়ে খেতে পারেন এতে করে আপনার টনসিল ফোলা অনেকখানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।টনসিল ফোলা কমাতে চাইলে দিনে কয়েক বার পুদিনা পাতার জুস বানিয়ে খেতে পারেন ।
১২। তুলসি পাতার জুস ঃ টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে তুলসী পাতা জুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী একটি উপাদান ।তাই টনসিল ফোলাভাব কমাতে চাইলে তুলসী পাতা জুস বানিয়ে খেতে পারেন ।
১৩। তুলসি পাতা ও মধু মিশ্রন ঃ তুলসী পাতা ও মধু মিশ্রন টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে এদের জুড়ি মেলা ভার যদি আপনি ঘরোয়া উপায়ে টনসিল ফোলা কমাতে চান তাহলে আপনার বাড়ির পাশে থাকা তুলসী পাতা রস করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার ভালো উপকার হবে।
১৪। চায়ের সাথে তুলসি পাতা ঃ চায়ের সাথে তুলসী পাতা দিয়ে চা বানিয়ে টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হিসেবে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খেতে পারেন ।
১৫। তেজপাতা ও লবঙ্গ ঃ তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে পান করা টনসিল ফোলা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় ।তাই টনসিল ফোলা কমাতে তেজপাতা ও লব ঙ্গ মিশিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন ।
টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায়
বিশেষ করে শীতের সময় একটি রোগ প্রতিটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম হচ্ছে টনসিল ।সাধারনত এ রোগটি হয় ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন থেকে । টনসিল হলে ব্যাথার সৃষ্টি হয় এবং ব্যথাটি অত্যন্ত যন্ত্রণা দায়ক হয়ে থাকে শুধু যে শীতকালে টনসিল হয় ঠিক এমনটা নয় ।আবহাওয়া একটু টান্ডা থাকলে ও বর্ষাকালে টনসিলের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে ব্যথা সৃষ্টি হয় উপরের আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি টনসিল ফোলা কমানোর উপায় ।
আমরা এখন জানব টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায় । টনসিলার ব্যথা হলে লেবুর রস ও গরম পানি মিশিয়ে দিনে কয়েকবার চা বানিয়ে খেতে হবে টনসিলের ব্যথা হলে চা পাতা ও মধু এক চামচ করে পানিতে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে চা বানিয়ে খেতে হবে সেই সাথে চায়ে আদা কুচি ও লবণ মিশিয়ে চা বানিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায় ।
সেই সাথে হালকা কুসুম গরম পানির সাথে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে দিনে ৪ থেকে ৫ বার অথবা তার চেয়ে অধিক করতে পারলে ভালো হয় । এ গুলো হচ্ছে টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে গুরুত্ব পূর্ণ ঘরোয়া উপায় ।
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
আমরা এতক্ষন যাবত টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এবং টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি এ আলোচনায় জানতে পারব টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা । টনসিল হলে ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকায় ভালো সেই সাথে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার বিভিন্ন প্রকার ভাজা পড়া এবং অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।
বিভিন্ন ফল যেগুলো আপনার টনসিলের ক্ষতি করতে পারে সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকায় ভালো টনসিল হলে শক্ত খাবার খেতে গেলে অনেক সময় খাওয়া অসুবিধা হয় যেমন গলা ব্যথা হতে পারে তাহলে এ সময় যতটুকু সম্ভব নরম খাবার খাওয়া এবং সেই সাথে গরম খাবার খেতে হবে । ফ্রিজের খাবার আইসক্রিম ঠান্ডা আইসক্রিম ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয় এবং অন্যান্য ঠান্ডা পানীয় গলা ব্যথা বাড়াতে পারে এজন্য যতটুকু সম্ভব এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো ।
টনসিল হলে কি লেবু খাওয়া যাবে
টনসিল হলে কি কলা খাওয়া যাবে
টনসিল যেহেতু একটি ঠান্ডা জনিত সমস্যা সে কারণে টনসিল হলে কলা খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় মেনে কলা খেতে হবে। কলা খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কলাটি দীর্ঘদিন যাবত ঠান্ডা স্থানে ছিল কিনা অথবা কলাটিকে ফ্রিজের মধ্যে রাখা ছিল কিনা সে ধরনের কলা খাওয়া থেকে আপনার বিরতি থাকাই উচিত। কারণ ঠান্ডা কলা আপনার গলা ব্যাথা অনেক গুন বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আপানার শরীরে সর্দি জ্বর ডেকে আনতে পারে ।
টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে
টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে আমরা অনেকেই জানিনা তাই টনসিল ফুলা কমানোর উপায় আর্টিকেলটির এ পর্বে টনসিল হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে জেনে নিই । টনসিল হলে অথবা গলা ব্যথা করলে যতটুুকু সম্ভব হালকা ও নরম খাবার খেতে হবে ।নরম খাবার গুলো হচ্ছে গরম দুধ অথবা হরলিস্ক স্যুপ চা নরম ফল তরল সুজি গলা ভাত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে ।
টনসিল হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
আপনি যদি টনসিলের সমস্যায় ভুগেন তাহলে যে সমস্ত ফলগুলো টনসিল হলে খাওয়া যাবে এবং যে সমস্ত ফল গুলো খাওয়া যাবে না সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন যেমন কলা পেঁপে কমলা মালটা আনারস তরমুজ বাতাবি লেবু ইত্যাদি নরম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন অনায়াসে । আবার যে সমস্ত ফলগুলো শক্ত বলে মনে হয় যেমন পেয়ারা আপেল কাচাঁ আম ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো ।
টনসিল হলে কি ওষুধ খেতে হবে
আমরা টনসিল ফোলা কমানোর উপায় আটিকেল টির উপরের আলোচনায় এতক্ষন যাবত টনসিল খোলা কমানোর উপায় আলোচনার সবগুলোই ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি । আসলে টনসিল হলে কি ওষুধ খেতে হবে এটা নির্ভর করবে কারণ ও টনসিলের ব্যথার তীব্রতার উপর । তবে আপনি অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার যেভাবে আপনাকে পরামর্শ দিবেন এবং যে সমস্ত ওষুধ সেবন করার নির্দেশ দিবেন ঠিক সেইগুলো ওষুধ সেবন করবেন তা না হলে আপনাকে ভবিষ্যতে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে ।
লেখকের মন্তব্য
আমার মতে কারো টনসিল হলে প্রথমে টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করতে হবে এবং টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য ঠিক একই ভাবে টনসিলের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে হবে এতে উন্নতি না হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে ।
উপসংহার
পরিশেষে ধন্যবাদ জানাই এতক্ষন যাবত সঙ্গে থাকার জন্য । আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন । আর পরবর্তী আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন। চাঁপাই বি ডি ডট কম



অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url