চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার জেনে নিন বিস্তারিত
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার করার তুলনা হয় না ।সব চেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের বাড়ীর পাশে থাকা নিম গাছের পাতা এত যে উপকার করে আমরা সেটাই জানিনা । সেই অজানা উপকারের কথা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য মূলত আজকের আর্টিকেলটি লেখা ।
চলুন তাহলে জেনে নিই চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার করলে আমরা কি কি উপকার পেয়ে থাকি ।আবার কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং চুলকানিতে নিম পাতা ব্যবহার করলে শুধু উপকারী হয় নাকি এর কিছু ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভূমিকা
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায় এবং চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার করার ফলে আমাদের কি ক্ষতি করে অর্থাত নিম পাতার ক্ষতিকর দিক নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম নিম পাতা ও হলুদ মুখে দিলে কি হয় ব্রর্নের জন্য নিম পাতার ব্যবহার। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের লেখা আর্টিকেল টির মাধ্যমে । তাই বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন নিম্নের আলোচনায় ।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানিতে নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে মানুষের শরীরে অনেক উপকার হয়ে থাকে। শরীরের চুলকানি সমস্যার জন্য কাঁচা নিম পাতা এবংপানি মিশিয়ে পানি গরম করে হালকা কুসুম পানি দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে গোসল করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আপনি এটি পরীক্ষা করার জন্য সাত দিন থেকে 15 দিন পর্যন্ত এভাবে গোসল করতে পারেন ।
কাঁচা নিম পাতা আপনার পাশে থাকা গাছ থেকে পেড়ে পেস্ট বানিয়ে চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার করতে পারেন । এর ফলে আপনার শরীরের চুলকানি অনেকখানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপনি পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে দেখতে পারেন।কারন নিম পাতায় এ্যানটিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যানটিইনফ্ল্যামেটরি রয়েছে এটি বিভিন্ন ত্বক সুরক্ষায় ক্জ করে খাকে । একজিমা চুলকানি এবং খোসপাচড়া নিরাময়ে কাজ করে । তাই চুলকানিতে নিমপাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারেন ।
নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম
বিশেষ করে নিম পাতা চুলের যত্নে ব্যবহার করলে ভলো ফলাফল পাওযা যায় । নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য এবং কার্যকর নিয়ম আপনাদের মধ্যে নিম্নে আলোচনা করলাম প্রথমে নিম তেল ব্যবহার করতে হবে সাথে নিম হেয়ার প্যাক এবং নিম জল তৈরী করে ব্যবহার করতে হবে।
চুল পড়া ও খুসকি দূর করতে নিম পাতা ফুটিয়ে সে পানি দিয়ে চুল ধোয়া যেতে পারে । চাইলে মিশ্রণটি আরো একটি উপায়ে টক দই এর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। নিম পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে নারিকেল তেলের সাথে চুলে ব্যবহার করতে পারেন ।
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এখন পর্যন্ত সরাসরি প্রমাণ মেলেনি তবে নিম পাতা ব্যবহারের ফলে মুখে থাকা ব্রন মেসতা ব্রনের দাগ মুছে ফেলতে সাহায্য করে থকে । তবে এ গুলো মুছে ফেলতে নিম পাতার ব্যবহার জানতে হবে । কাচাঁ হলুদ এবং নিম পাতা এক সাথে পেস্ট বানিয়ে মুখের ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পানির সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরী করে নিতে হবে ।সেই পেস্টের সাথে এ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন ৮ থেকে ১০ মিনিট পর মুখোমন্ডল হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধৌত করুন এভাবে ২থেকে ৩ সপ্তাহ ব্যবহার করে দেখতে পারেন ধিরে ধিরে দেখতে পাবেন আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয়
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার নিয়ে আর্টিকেল লেখার উপরের আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করা যায় সেই সাথে নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পকে জেনেছি আবার নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে জেনেছি েএখন জানতে পারব নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় ।
নিম পাতার বড়ি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় হজম লিশক্তি বৃদ্ধি পায় লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ত্রনে থাকে ।তবে গর্ভবতী নারীদের এটি না খাওয়া ভালো তাদের উচিত হবে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করা।
নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস সেবন করা সবচেয়ে উপকারী । নিম পাতার রস খাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম যেটি না করলেই নয় সেটি হচ্ছে গাছ থেকে সতেজ নিম পাতা পেড়ে নিতে হবে এবং
রস তৈরি করে নিতে হবে । তার পরপর সে রস সেবন করতে হবে যদি অতিরিক্ত তেতো লাগে তাহলে
হালকা মধু অথবা চিনি দিয়ে সেবন করতে হবে ।
নিম পাতা সেবনের নিয়ম সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস সেবন করা সবচেয়ে উপকারী ।পরিমাণ ১ থেকে ২ চামচ প্রতিদিন সকালে সেবন করা যথেষ্ট । নিম পাতাতে শক্তিশালী এ্যানটি অক্রিডেন্ট শরীর কে রাখে সক্রিয় সতেজ। এটি ফাঙ্গাস ব্যাকটেরিয়া এবং ভইরাস থেকে শরীরকে রক্ষা করে ফলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
নিম পাতার রস অথবা কাঁচা নিম পাতা যদি খাওয়া না যায় তবে রোদে শুকিয়ে সরিষার তেল মিশিয়ে খেতে পারেন ভাতের সঙ্গে । ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার রস একটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে খেলে বা সেবন করলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন এলার্জি চুলকানি এবং ব্রন থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে । দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে নিম পাতা ।
ব্রর্নের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
বর্ণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করা উচিৎ কিভাবে করবেন ব্রর্ণের জন্য নিমপাতা ব্যবহার জেনে নিন
ব্রর্ণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করতে প্রথমে যেটি করবেন সেটি হচ্ছে সতেজ নিম পাতা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন তারপর আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
নিম পাতা গুড়ো করে কাচাঁ হলুদের সাথে অ্যালো ভেরা জেল এর সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন সেই সাথে একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন এটি একটি চমৎকার পদ্ধতি ।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
নিম পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার বা সেবনে কিছু কিছু ক্ষতি করে থাকে যেমন মাথা ব্যথা বমি বমি ভাব ইত্যাদি এছাড়া কিডনি সমস্যা লিভারের সমস্যা ক্ষতি করতে পারে ।লিভার বা কিডনি রোগে আক্রান্ত
ব্যক্তি নিম পাতা ব্যবহার বা সেবন করা থেকে বিরত থাকায় ভালো যাদের নিম পাতা ব্যবহার এ এ্যলার্জি
তৈরী হয় তাদের ও নিম পাতা ব্যবহার অথবা সেবন করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম ।
লেখকের মন্তব্য
আমার মতে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার একটি কার্যকরী পদ্ধতি । এ পদ্ধতি কে অবলম্বন করে ব্রর্ণের জন্য এবং ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন ।
উপসংহার
পরিশেষে ধন্যবাদ জানাই এতক্ষণ যাবৎ সঙ্গে থাকার জন্য এবং আমার এ ছোট আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা সামান্য উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে বন্ধ বান্ধব এবং পরিচিত জনের নিকট শেয়ার করুন । পরবতী আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন চাঁপাই বিডি ডট কম ।


অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url